স্বদেশ ডেস্ক:
পাবনার চাটমোহরে গত সাত দিনে এক নারীসহ ছয়জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ‘ডেঙ্গু আতঙ্ক’। তবে আক্রান্তদের অধিকাংশই ঢাকাতে অবস্থান করতেন বলে জানা গেছে।
আক্রান্তরা হলেন- পৌর শহরের বালুচর মহল্লার বাসিন্দা রেজাউল করিম দুলাল সরকারের স্ত্রী অলিভা খাতুন, প্রভাকরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আলীম, অন্তর আলী, আল আমিন, লিটন হোসেন এবং শাহিন হোসেন। গত ২৬ জুলাই থেকে ২ আগস্টের মধ্যে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে অলিভা খাতুন বাদে বাকিরা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগটি নির্ণয়ের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন ‘সন্দেহভাজন’ রোগী ও তার স্বজনেরা। জ্বরের উপসর্গ সন্দেহজনক হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাদের ছুটতে হচ্ছে জেলা সদরের হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে। এতে অর্থ ও সময় দুটোই অপচয় হচ্ছে।
অপরদিকে বর্ষা মৌসুমে পৌর এলাকাসহ গোটা উপজেলায় মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মাঝে। দীর্ঘদিন মশক নিধন অভিযান পরিচালনা না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে।
উপজেলায় এখন পর্যন্ত মোট কতজন মানুষ এ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ জ্বরে আক্রান্তদের সংখ্যা বেশি হবে। আক্রান্তদের অনেকেই বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেসরকারি ক্লিনিকে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের হিসাব সরকারি হাসপাতালে নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. বায়েজিদ-উল-ইসলাম জানান, চাটমোহরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা তার জানা নেই। তবে সন্দেহভাজন চারজনকে পাবনা পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদি ইকবাল বলেছেন, ‘চাটমোহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সম্পর্কে আমাকে কিছুই জানায়নি ওখানকার টিএইচও। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এখন ২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে চাটমোহরের রোগীও আছেন।’